এবার আকাশে কৃত্রিম চাঁদ স্থাপন করবে চীন!

২০২০ সালের ভেতর চীনের চেংডু শহরের আকাশে কৃত্রিম চাঁদ স্থাপনের পরিকল্পনা করছে দেশটির বিজ্ঞানীরা। ছবি : সংগৃহীত
খুব শিগগিরই নতুন সঙ্গী পেতে যাচ্ছে রাতের আকাশ। ২০২০ সালের মধ্যেই রাতের শহর আলোকিত করতে আকাশে কৃত্রিম চাঁদ স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘টাইম’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা যায়।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে টাইম জানায়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডু শহরের আকাশে মানবসৃষ্ট ওই চাঁদ স্থাপন করা হবে বলে বিজ্ঞানীরা পরিকল্পনা করছেন। কৃত্রিম চাঁদটিতে এমন বহিরাবরণ ব্যবহার করা হবে যা আসল চাঁদের মতোই সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে রাতের পৃথিবীকে আলোকিত করবে। ওই চাঁদটি মূলত একটি স্যাটেলাইট।
কৃত্রিম চাঁদটি স্থাপন করা হলে রাতের বেলা চেংডু শহরে আর সড়কবাতি জ্বালানোর প্রয়োজন পড়বে না। বিজ্ঞানীদের মতে সাধারণ মানুষের চোখে মূল চাঁদের চেয়ে ওটি হবে আটগুণ বেশি উজ্জ্বল। আর সড়ক বাতির চেয়ে উজ্জ্বল হবে পাঁচগুণ কম।
পৃথিবীর খুব কাছে মাত্র পাঁচশত কিলোমিটার দূরত্বে এটি আবর্তিত হবে। যেখানে মূল চাঁদ অবস্থিত পৃথিবী থেকে তিন লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার দূরে।
‘তিয়ান ফু এরিয়া সায়েন্স সোসাইটির’ প্রধান বিজ্ঞানী য়ু চানফেং চীনা সংবাদ মাধ্যম চায়না ডেইলিকে জানান, উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত রাতের আকাশ আলোকিত করা সম্ভব হবে না। এমনকি পুরো চীনও নয়। এর আওতায় থাকবে কেবল মাত্র চেংডু শহর।
কৃত্রিম ওই চাঁদ স্থাপন করা হলে বাৎসরিক হিসাব অনুসারে ১৭ কোটিরও অধিক মার্কিন ডলার বিদ্যুৎ ব্যয় বেঁচে যাবে চেংডু শহরের। শুধু তাই নয়, অন্ধকারে কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এটি খুব দ্রুত কাজে আসবে বলেও জানান তিনি। এ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলে ২০২২ সালের মধ্যে আকাশে আরো তিনটি কৃত্রিম চাঁদ স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
সফল ভাবে কাজটি তুলে আনা ও যাতে প্রকৃতির ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে এ ব্যাপারে আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে জানান চানফেং।
‘আমরা আমাদের পরীক্ষানিরীক্ষাগুলো চালাব বসতিহীন একটি মরুভূমিতে। যাতে কৃত্রিম চাঁদের আলো মানুষ কিংবা কোনো কিছুর ক্ষতি না করতে পারে’ বলেন বিজ্ঞানী।
মহাকাশ নিয়ে চীনের মতো এ রকম উচ্চাভিলাষী প্রকল্প এই প্রথম নয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, এর আগেও ১৯৯০ সালে দিনের আলো না পাওয়া রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের কিছু শহরে সূর্যের আলো প্রতিফলিত করার পরিকল্পনা করেছিল দেশটি। সে জন্য তারা আকাশে বিশেষ পদ্ধতির একটি আয়না স্থাপন করেছিল, যা সূর্যের আলো প্রতিফলিত করতে সক্ষম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বায়ুমণ্ডলের প্রভাবে আয়নাটি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে ১৯৯৯ সালে ওই প্রকল্প বাতিল করা হয়।
শুধু তাই নয়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘রকেট ল্যাব’ আকাশে একটি কৃত্রিম নক্ষত্র স্থাপন করে। কিন্তু আলোদূষণ ও পৃথিবীর কক্ষপথে ঝুটঝামেলা তৈরির দায়ে বিজ্ঞানীরা মানবসৃষ্ট ওই নক্ষত্রের সমালোচনা করেন।
Share:
Read More

সহজে দ্রুত রক্তদাতার সন্ধান দেবে ‘আলো ব্লাড ডোনার’

তথ্যপ্রযুক্তির যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রক্তদান কার্যক্রমকে আরো সহজ করতে ‘আলো ব্লাড ডোনার’ নামে নতুন একটি অ্যাপ চালু হয়েছে। অ্যাপটি চালু করেছে ‘সেভ দ্য ফিউচার’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন। অ্যাপটির বিশেষ সুবিধা হচ্ছে নিবন্ধিত রক্তদাতাদের খুঁজে পেতে সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে ‘Alo Blood Donor’ নামে পাওয়া যাচ্ছে।
অ্যাপটিতে সারা দেশের স্বেচ্ছাসেবকদের বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে। অর্থাৎ যার জেলায় রক্তের প্রয়োজন হবে, অ্যাপের মাধ্যমে রক্তগ্রহীতারা সেই জেলায় স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে যোগাযোগ করে কাঙ্ক্ষিত রক্তদাতার সন্ধান পাবেন। এ ছাড়া সরাসরি অ্যাপ থেকে সার্চ করে যেকোনো গ্রুপের রক্তদাতা খুঁজে নেওয়া যাবে। অ্যাপে যত বেশি রক্তদাতা নিবন্ধন করবেন, তত বেশি মানুষ উপকৃত হবে। তাই সব রক্তদাতাকে ‘আলো ব্লাড ডোনার’ অ্যাপে নিবন্ধন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ‘সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন’। সম্প্রতি সংগঠনটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
‘সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন’-এর নির্বাহী পরিচালক গোলাম মোস্তফা মজুমদার বলেন, “রক্ত কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যায় না। একজন মানুষই পারে আরেকজন মানুষকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচাতে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশে অসংখ্য মুমূর্ষু রোগী প্রায় জরুরি রক্তের অভাবে মারা যান। এর মূল কারণ জরুরি রক্তের প্রয়োজনে রক্তদাতার সন্ধান সহজে না পাওয়া। তাই যেকোনো গ্রুপের রক্তের সন্ধান পেতে সাহায্য করবে ‘আলো ব্লাড ডোনার’ অ্যাপ।”
‘আলো ব্লাড ডোনেশন টিম’-এর সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘অ্যাপটির উদ্দেশ্য হচ্ছে সারা দেশে একযোগে আলোর সেবাদান নিশ্চিত করা। সহজে নিজের প্রয়োজনীয় রক্ত নিজে সংগ্রহ করার নিশ্চয়তা। ২৪ ঘণ্টা সেবাদান নিশ্চিত করা। সারা দেশের ছোট ছোট রক্তদান সংগঠনকে এক জায়গায় নিয়ে আসাসহ তাদের জন্য বড় পরিসরে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। জরুরি রক্তের জোগানে বিশেষ ভূমিকা রাখা। কম সময়ে কম কষ্টে সহজে রক্তদাতা জোগান দেওয়া। আমরা চাই, আমাদের দেশে আর কেউ যেন রক্তের অভাবে মারা না যান।’
Share:
Read More

স্মার্টফোন চুরি হলেও নিরাপত্তা দেবে ‘থামাও’

বাংলাদেশ ডিজিটাল হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্মার্টফোনের ব্যবহার। স্মার্টফোনের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে আধুনকি জীবন এখন এই স্মার্টফোন ছাড়া চিন্তাই করা যায় না।
স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে স্মার্টফোনের চুরি। একটি স্মার্টফোন চুরি হলে ব্যবহারকারীর সব ডাটা, ফেইসবুক/গুগল/ ই-মেইল সবকিছুর Access চলে যায় চোরের হাতে এবং সাধারণ মানুষজন চরম বিড়ম্বনায় পড়ে ।
নারীরা আরো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়। নারীদের স্মার্টফোন চুরি হওয়ার পর তারা প্রায়ই ব্লেকমেইলের শিকার হন। এসব বন্ধ করতে সম্প্রতি তৈরি করা হয়েছে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘থামাও’। আর অ্যাপটি তৈরি করেছেন কয়েকজন তরুণ। তারা হলেন : নাসিফ সিদ্দিকী (একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), আহসান আসিম (কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এআইইউবি), রাতুল রহমান (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ও ফায়াজ বিন সালাম (কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এআইইউবি)
অ্যাপ তৈরির মূল উদ্যোক্তা নাসিফ সিদ্দিকী অ্যাপটি সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা চাচ্ছিলাম এমন কিছু একটা করতে যাতে ব্লেকমেইল থামানো যায়। এখান থেকেই ‘থামাও’ এর শুরু । আন্তর্জাতিকভাবে অনেক অ্যাপ আছে যেগুলো ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের ব্যবহারকারীদের কথা চিন্তা করে বানানো । থামাও একমাত্র অ্যাপ যেটি শুধু বাংলাদেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখেই ডেভেলপ করা হয়েছে। আমরা শতাধিক স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সাথে কথা বলে থামাও-এর ফিচারের কাজ করেছি যাদের স্মার্টফোনটি বাংলাদেশে ২০১৭-১৮ সালে চুরি হয়েছে।’
নাসিফ আরো বলেন, ‘আমরা নিজেদের উদ্যোগেই একটি টিম বিল্ট করে থামাও-এর কাজ শুরু করে দেই। কোনো প্রোফিট মোটিভ থেকে না, শুধু- এভাবে এগুলো চলতে দেওয়া যায় না- এই চিন্তা থেকেই এর কাজ করেছি।’
Google Play Store এ অ্যাপটি দেওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন শত শত মানুষের থেকে ই-মেইল- মেসেজ আসতে থাকে বলে জানান নাসিম। অ্যাপটি ব্যবহার করে নিরাপদ বোধ করার কথাই জানিয়েছেন স্মার্টফোন ইউজাররা।
অ্যাপটি যা করবে
ফোন চুরি করে চোর আর ফোনটি বন্ধ করতে পারবে না। এর কারণ মাত্র একটি ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমেই কোন ইন্টারনেট ছাড়া হারিয়ে যাওয়া ফোন রিসেট দিয়ে ফোন মেমোরি মুছে দেয়া যাবে। এতে চোর মোবাইল ফোনের কোন ডাটা, ফেইসবুক/গুগল/ ই-মেইল ইত্যাদির কোনো এক্সেস পাবে না। একটি খুদে বার্তার দিয়েই ইন্টারনেট ছাড়া হারিয়ে যাওয়া ফোনে উচ্চস্বরের সাইরেন বাজানো যা মিউট মোডেও কাজ করবে। এই অ্যাপ মোবাইল চার্য দেওয়া অবস্থায়/ হেডফোন লাগানো অবস্থায় চুরি থামাতে সক্ষম।
অ্যাপটি মোবাইল ফোনে ইন্সটল করতে হলে যেতে হবে গুগলের প্লে স্টোরে। সেখানে গিয়ে Thamao লিখে সার্চ দিয়ে অ্যাপটি বের করে ইন্সটল করতে হবে।
অ্যাপটির ফিচার নিচে দেওয়া হলো
Sms security
ইন্টারনেট ছাড়াই অন্য যেকোনো ফোন থেকে চুরি হয়ে যাওয়া ফোনে পুর্ব-নির্ধারিত sms দিয়ে ফোনকে control করা যাবে। এখানে রয়েছে -
1) "Thamao Reset" এর মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে phone কে Reset factory করা যাবে, এর ফলে চোর ফোন নিয়ে গেলেও ইউজার তার নিরাপদ তথ্য মাত্র একটি Sms দিয়েই মুছে ফেলতে পারবে যাতে চোরের হাতে ব্যক্তিগত তথ্য যেন না যায়। মেয়েদেরকে এই ফিচারটি চোরদের দ্বারা ব্লেকমেইল হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
3) "Thamao Siren" এর মাধ্যমে মেসেজের মাধ্যমে হারানো ফোনে siren বাজবে, এই siren উচ্চ শব্দ সাইলেন্ট মোডেও বাজবে। এমন কি কোনো ভাবে আনলক না করে সাউন্ড কমানো যাবে না, Volume down buttonও কাজ করবে না।
3)" Thamao Lock" এর মাধ্যমে মেসেজ দিয়েই ফোনটিকে লক করে দেয়া যাবে, তখন Power Button Disabled হয়ে যাবে. যার ফলে কোনোভাবেই আনলক না করে ফোনটি সাধারণভাবে বন্ধ করা যাবে না।
Smart Security
স্মার্ট সিকিউরিটিতে রয়েছে বেশ কিহু আধুনিক ফিচার। এই ফিচারগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে চোরকে হাতেনাতে ধরা। Headphone, Charger এর সুবিধা নিয়েই এখানে চুরি হতে গেলে নির্দিষ্ট সময় ফোনে উচ্চ শব্দের সাইরেন বাজবে। এখানে রয়েছে -
1) Headphone Security
সার্ভেতে দেখা গিয়েছে হেডফোন লাগানো অবস্থায় চোর সেটা খুলে অগোচরে ফোনটি নিয়ে যায়। এই ফিচারটি চালু থাকলে ফোন লক অবস্থায় হেডফোন খুলে ফেললে বেজে উঠবে উচ্চস্বরের সাইরেন। বাস থেকে চুরি রক্ষায় এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
2) Charging Security
একইভাবে সার্ভেতে দেখা গিয়েছে চার্যার  লাগানো অবস্থায় চোর সেটা খুলে অগোচরে ফোনটি নিয়ে যায়। এই ফিচারটি চালু থাকলে ফোন লক অবস্থায় চার্যার খুলে ফেললে বেজে উঠবে উচ্চস্বরের সাইরেন। বাসা বা মেস থেকে ফোন চুরি রক্ষায় এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
3) Power button disable
ফোন চুরি হবার পর চোর প্রথম সুযোগেই ফোনটির পাওয়ার অফ করে দেয়। এই ফিচারটি চালু থাকলে ফোন লকড থাকা অবস্থায় পাওয়ার বাটন চেপে ফোন বন্ধ করা যাবে না।
IMEI Security
আপনার ফোনটির মালিক যে আপনিই তার রেকর্ড রাখা যাবে থামাও-এ সয়ংক্রিয়ভাবে। এমনকি ব্যবহৃত ফোন কেনার আগে সার্চ করে দেখেও নিতে পারবেন ফোনটির মালিক আসল কি না।
Share:
Read More

বিষণ্ণতা কমাতে বয়ফ্রেন্ড ভাড়া!

ভারতের মুম্বাইয়ে বিষণ্ণতা কমাতে ‘রেন্ট এ বয়ফ্রেন্ড’ অ্যাপস চালু হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
সিঙ্গেল বলে কি নিজেকে অভিশপ্ত ভাবছেন? বিষণ্ণতা জেঁকে বসেছে? না, এবার ঝেড়ে কাশুন। বয়ফ্রেন্ড ভাড়া করুন। তাঁর সঙ্গে গল্প-গুজব করুন। ব্যস, হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে বিষণ্ণতা!
কিন্তু কীভাবে?
বাজারে এসেছে ‘রেন্ট এ বয়ফ্রেন্ড’ অ্যাপস, যেখানে ঢুঁ মারলেই অনেক বয়ফ্রেন্ড পাবেন। তবে ঘণ্টাপ্রতি অর্থ গুনতে হবে। বিষণ্ণতা কমাবেন, আর একটু খরুচে হবেন না, তা কি হয়? কিপটেমি ছেড়ে হাত খুলুন!
সিঙ্গেল মেয়েদের বিষণ্ণতা কমাতে ভারতের মুম্বাইয়ের কৌশল প্রকাশ নামের এক তরুণ রেন্ট বয়ফ্রেন্ড (আরএবিএফ) অ্যাপস খুলেছেন। ২৯ বছরের এ তরুণ বলছেন, এটি সেবা অ্যাপস। এ অ্যাপস না কি আপনাকে বিস্মিত করবে! যাহোক, প্রতিষ্ঠাতা কৌশল বলছেন, বিষণ্ণতার মতো মানসিক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমাবে এ অ্যাপস। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
চলতি মাসের আগস্টেই এই অ্যাপসটির উদ্বোধন করা হয়েছে। কৌশল বলেন, আরএবিএফ অন্যান্য ডেটিং অ্যাপস থেকে আলাদা। কারণ, বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি পেতেই এ সেবা অ্যাপস চালু হয়েছে। বয়ফ্রেন্ডদের তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে— সেলিব্রেটি, মডেল ও সাধারণ মানুষ।
যদি আপনি বয়ফ্রেন্ড বুক করতে চান, তবে প্রথমে আরএবিএফে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর কোথায় তাঁর সাথে দেখা করতে চান, সেই স্থান নির্ধারণ করতে হবে। মজার ব্যাপার হলো, এই বয়ফ্রেন্ডদের তালিকায় রুবারো মিস্টার ইন্ডিয়া-২০১৮ সুরজ দাহিয়াও আছেন!
আরএবিএফ অ্যাপসটি শুধু মুম্বাইয়ে বসবাসকারীরা ব্যবহার করতে পারবে। ছবি : সংগৃহীত
কিন্তু কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমবে? আরএবিএফ প্রতিষ্ঠাতা বলেন, বয়ফ্রেন্ডরা যদি বুঝতে পারেন ক্লায়েন্টের বিষণ্ণতা বা মানসিক রোগ আছে, তবে তাঁরা মনোবিদদের একটি দলের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন।
যদি কোনো পুরুষ বা নারী সঙ্গহীনতার কারণে তীব্র একাকিত্ব বা কষ্টে ভোগেন, তখন এই অ্যাপসটি আশার আলো দেখাবে। ভুক্তভোগীরা অ্যাপসে নিবন্ধিত বয়ফ্রেন্ডদের কাছ থেকে সময় কিনে নেবেন। এটা হবে ঘণ্টাভিত্তিক।
দিল্লির মনোবিদ দিব্য দুরেজা বলেছেন, যদি এই অ্যাপস রোমান্টিক ঘনিষ্ঠতা অনুমোদন না করে, তবে অ্যাপস ব্যবহারকারীদের চোখে তা মিথ্যা বলে প্রতীয়মান হবে। শঙ্কার কথাও বলেছেন তিনি। বলেছেন, এটা মিথ্যা আঙিনার ওপর দাঁড়িয়ে আছে আর তা ভুল দিকে ব্যবহৃত হতে পারে।
যাহোক, এই অ্যাপসটি সারা বিশ্বের মানুষ ব্যবহার করতে পারবে না। শুধু মুম্বাইয়ে বসবাসরত মানুষই এই অ্যাপস ব্যবহার করতে পারবে।
Share:
Read More

বন্ধ হচ্ছে ড্রাইভ, আসছে গুগল ওয়ান

চলতি বছরের মে মাসে গুগল ঘোষণা দিয়েছিল তাদের অনলাইন স্টোরেজ সার্ভিস ‘গুগল ড্রাইভে’র একটি নতুন সংস্করণ ‘গুগল ওয়ান’ এর। যদিও গুগল ড্রাইভ ও গুগল ওয়ানের বড় ধরনের কোনো পার্থক্য নেই; তবে পরিবর্তন যেটা চোখে পড়ার মত সেটা হলো এই স্টোরেজ সার্ভিস ব্যবহারে খরচের তালিকাটা। যেখানে স্বল্প খরচের কিছু প্ল্যান রেখেছে গুগল।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এই সার্ভিসটি ড্রাইভ ব্যবহারকারীদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু করা হয়। তবে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য এতদিন তা উন্মুক্ত করা হয়নি। গত বুধবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জন্যও খুলে দেওয়া হয়েছে গুগল ওয়ানের সার্ভিস।
গুগল ওয়ানে আগের ড্রাইভের মতোই ১৫ গিগাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ ব্যবহার করা যাবে বিনামূল্যে। ১০০ গিগাবাইট স্টোরেজের জন্য মাসে খরচ করতে হবে এক দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার, ২০০ গিগাবাইট এর জন্য মাসে দুই দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার আর ২ টেরাবাইট এর জন্য মাসে নয় দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার, যেখানে গুগল ড্রাইভে আগে ১ টেরাবাইটের জন্য এই পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হতো। আর ২ টেরাবাইটের বেশি স্টোরেজের জন্য খরচের পরিমাণ আগের মতোই রাখা হয়েছে।



গুগল ওয়ানে ব্যবহারকারীদের জন্য আরো বেশ কিছু সুবিধা যোগ করা হয়েছে। যেমন—সপ্তাহে সাত দিন, দিনে ২৪ ঘন্টা এক্সপার্টদের সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা, যাতে ব্যবহারকারী যেকোনো ধরনের সমস্যার সমাধান পেতে পারেন তাৎক্ষনিক। আর ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে ও গুগল সার্চে প্রাপ্ত হোটেলগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন।
এই মুহূর্তে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া গেলেও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্বের অন্যান্য দেশেও গুগল ওয়ানের সার্ভিস পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে গুগলের পক্ষ থেকে।
Share:
Read More

গুগলের স্বয়ংক্রিয় উড়ন্ত ট্যাক্সি

গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতার ড্রোন কোম্পানি নিয়ে এসেছে পৃথিবীর সর্বপ্রথম স্বয়ংক্রিয় উড়ন্ত ট্যাক্সি। দুজন যাত্রী ধারণক্ষম এই উড়ন্ত ট্যাক্সিটি ঘণ্টায় প্রায় ১১০ মাইল বেগে উড়তে পারে। গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ জানান, ট্যাক্সিটি বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে নিয়ন্ত্রণ অনুমোদনের  জন্য অপেক্ষারত রয়েছে। জেফার এয়ারওয়ার্কসের তত্ত্বাবধায়নে ড্রোন সাদৃশ্য ট্যাক্সিটি গোপনভাবে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার সম্মুখীন হয়।
কোরা নামক এই স্বয়ংক্রিয় উড়ন্ত ট্যাক্সিটি ১২-রটোর প্লেন এবং ড্রোনের মিলিত রূপ। এটি ড্রোনের মতো উল্লম্বভাবে উড্ডয়নে সক্ষম। আবার এর পেছনের দিকে লাগানো প্রপেলারের কারণে উড্ডয়নের পর এটি সামনের দিকে এগোয়। তাই বলা চলে প্লেন ও ড্রোন উভয়েরই বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে বিদ্যমান। আট বছর প্রচেষ্টার ফল এই ড্রোন প্লেনটি ভূমি থেকে প্রায় ৯১৪ মাইল পর্যন্ত উপরে উঠতে পারে। 

ল্যারি পেইজের ড্রোন প্রতিষ্ঠান কিটি হওক-এর মতে, ‘উড়ন্ত ট্যাক্সি আবিষ্কার মানে বিমানবন্দর ঘরে নিয়ে আসা, যেহেতু কোরা হেলিকাপ্টারের মতো উল্লম্বভাবে উড়তে পারে, তাই রানওয়ের জন্য আলাদা কোনো জায়গার প্রয়োজন নেই। কোরার মাধ্যমে যে কেউ যেকোনো সময় তাঁর বাড়ির ছাদ, উঠোন বা পার্কিং লট থেকে উড়তে পারে বাড়ি থেকেই।’

কিটি হওক-এর অর্থায়নের পেছনে রয়েছেন পেজ নিজেই, আর কোম্পানিটি পরিচালনা করছেন গুগলের সাবেক সক্রিয় গাড়ি পরিচালক সুবাসচিয়ান থ্রুন। উবার জাতীয় কোম্পানিগুলোর আগেই উড়ন্ত ট্যাক্সি সর্বপ্রথম তাঁরা চালু করতে চান।

আগামী তিন বছরের মধ্যে ট্যাক্সিটি বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনার অনুমতি পেয়ে যাবেন বলে তাঁরা আশা করেন, যা তাঁদের পৃথিবীর প্রথম উড়ন্ত ট্যাক্সি কোম্পানির স্বীকৃতি দেবে। শুধু তাই না, অনুমোদনটি দিলে নিউজিল্যান্ডও এমন অনুমোদনদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে। বলাই বাহুল্য, নিউজিল্যান্ডের বিমান সংস্থা খুবই উন্নতমানের এবং অনুকরণীয়।

কিটি হওক উবারের মতো কোরার জন্যও একটি অ্যাপ তৈরি করছে, যার মাধ্যমে একজন যাত্রী যেভাবে উবার ডাকে ঠিক সেভাবেই উড়ন্ত ট্যাক্সি ডেকে গন্তব্যের দিকে রওনা দিতে পারবে।   

কোরাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই কিটি হওকের। বাণিজ্যিকভাবে চালু করার পর তাদের আরো একটি কঠিন কাজ হবে মানুষকে এই বিষয়ে অবগত করা এবং বিশ্বাস করানো যে এটি ব্যবহারের জন্য নিরাপদ।

কিটি হওক জানায়, সফটওয়ার ও মানুষের মিলিত তত্ত্বাবধায়নে কোরার প্রতিটি উড্ডয়ন সংঘটিত হবে। তিনটি পৃথক স্বাধীনভাবে কর্মক্ষম রটোর ছাড়াও কোরার সঙ্গে প্যারাসুটও সংযুক্ত থাকবে।   
Share:
Read More

ভবিষ্যতে সাংবাদিকতা করবে রোবট?

গত বছরের ডিসেম্বরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় নোমুরা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এনআরআই) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন চমকের সৃষ্টি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিগতভাবে সামনের ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে জাপানের কর্মক্ষেত্রে ৪৯ শতাংশ কাজ করে দেবে রোবট। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ভবিষ্যতে অফিসের ক্লার্ক, ব্যাংক টেলার, নিরাপত্তাকর্মী, সুপারমার্কেটের দোকানদার, ট্রেন অপারেটর, বিভিন্ন খাবারের ডেলিভারি বয়, ক্লিনারসহ আরো অনেক সাধারণ কাজ রোবটদের দিয়েই করানো হতে পারে। খবরটি জানিয়েছে ভারতের আইটিবিষয়ক সাময়িকী পিসি কোয়েস্ট।
তবে সবকিছুই তো আর রোবট দিয়ে করা যাবে না। কিছু পেশা, যেমন—ডাক্তার ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, চিত্রশিল্পী, সংগীতশিল্পী, অভিনয়শিল্পী, সমালোচক, আইনজীবী, শিক্ষক, আলোকচিত্রশিল্পী, টিভি সম্প্রচারকারক, লেখক—এঁদের বিকল্প কখনোই রোবট হবে না বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। তবে মজার বিষয়, এনআরআই প্রতিবেদনে সাংবাদিকতা পেশা যে রোবটকে দিয়ে হবে না, সেটি কিন্তু উল্লেখ করা হয়নি। প্রযুক্তির যে অগ্রগতি হয়েছে আজকাল সেখানে যে রোবট, মানুষ সাংবাদিকের পদ দখল করবে না, সে কথা হলফ করে বলা যাচ্ছে না।
আমরা এমন এক যুগে বাস করছি, যেখানে স্বয়ংক্রিয়তা আর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রকৌশল ও চিকিৎসা খাতেই সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন সাংবাদিকতাতেও স্থান করে নিয়েছে। সাংবাদিকতা এমন একটি ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে, যেখানে রোবটদের ব্যবহার করা হবে সাংবাদিকতার পরিমাণগত বিষয়গুলো উৎপাদনে।
রোবট সাংবাদিকতা বিষয়টা শুনতে যতই কাল্পনিক লাগুক না কেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এটি সামনের দিনে আমাদের জীবনযাত্রার অংশ হয়ে উঠছে।
আমরা এরই মধ্যে হয়তো জানি, বার্তা সংস্থা এসোসিয়েট প্রেসের (এপি) ওয়ার্ডস্মিথ সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কলেজভিত্তিক খেলাধুলার প্রতিবেদনগুলো নিজেই তৈরি করে। সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে নর্থ ক্যারোলাইনার অটোমেটেড ইনসাইটস নামে একটি কোম্পানি। এই সফটওয়্যার তৈরিতে এপিও বিনিয়োগ করেছে।
বিশেষ অ্যালগরিদম বা কম্পিউটারের ভাষার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন তৈরি করে ওয়ার্ডস্মিথ সফটওয়্যার। একই সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিভিন্ন করপোরেট সংস্থার ত্রৈমাসিক আয়ের খতিয়ানের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করা শুরু করে দিয়েছে এপি। এরই মধ্যে বার্তা সংস্থা এসোসিয়েট প্রেস ঘোষণা করেছে যে তারা এ কাজে ওয়ার্ডস্মিথই ব্যবহার করবে। ফলে প্রতি তিন মাসে এরা চার হাজার ৪০০টি করপোরেট আয়ের রিপোর্ট নিয়ে প্রতিবেদন রচনায় সক্ষম হবে, যা একজন মানুষের তুলনায় ১০ গুণ বেশি।
শুধু এপি নয়, পশ্চিমা অনেক সংবাদ সংস্থা রোবট সাংবাদিকতা নিয়ে বেশ জোরেশোরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে। সংবাদ প্রতিবেদন ও মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনায় তথ্য স্থানান্তরের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
পূর্বনির্দেশনা অনুযায়ী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবট বিশাল তথ্যভাণ্ডার থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে আগে থেকেই প্রোগ্রাম করে রাখা কাজ নিজেরা বুঝে নিতে পারবে। কাজেই এটা খুব সহজে বলাই যায়, নিয়মিত সরকারি ঘোষণা, সব পরিসংখ্যান, প্রেস বিজ্ঞপ্তি-সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটের হাতে চলে যাবে। অন্যদিকে মানুষের হাতে থাকবে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, গভীর বিশ্লেষণ আর মানবিক আবেগ সমৃদ্ধ খবর ও কাহিনী।
বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার না করার পেছনে যে যুক্তিটি কাজ করছে তা হলো একজন মানুষ প্রতিবেদক যেভাবে সম্পূর্ণরূপে কাঠামোগত ও নতুন অর্থনৈতিক মোড়গুলো বুঝতে পারবে, সেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট পারবে না।
বিশ্বের বিভিন্ন খাতে স্বয়ংক্রিয়তার ফলে বিভিন্ন জায়গায় মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। তবে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বিষয়টি অন্য রকম। স্বয়ংক্রিয়তা প্রতিবেদককে বরং বিভিন্ন জটিল হিসাব, পরিসংখ্যান ইত্যাদি ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে। তবে সাংবাদিকদের জন্য এআই রোবট নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে, যখন এআই প্রযুক্তিটি আরো উন্নত হয়ে নাক গলাতে শুরু করবে সম্পাদকীয়, তুলনামূলক বিশ্লেষণ ও মানুষের আগ্রহমূলক সংবাদগুলোতে। তবে ভুলে গেলে চলবে না, মানুষ একসময় গুপ্তচরবৃত্তি ও প্রযুক্তির সহয়তায় এমন যন্ত্র তৈরি করেছিল, যা দিয়ে অনেক গোপন বার্তা উদ্ধার করা গিয়েছিল, এতে মানুষের কষ্ট কমেছিল। কাজেই ভবিষ্যতেও যন্ত্র, অর্থাৎ রোবট মানুষের কাঁধ থেকে কাজের বোঝা লাঘব করবে।
সম্প্রতি চায়নার একজন রোবট প্রতিবেদক, শিয়াও নান, চায়নার সংবাদমাধ্যম সাউদার্ন মেট্রোপলিস ডেইলিতে প্রথমবারের মতো একটি প্রবন্ধ লিখেছে। বসন্তের ছুটিতে চীনা যাত্রীদের বাড়ি ফেরার ভিড় নিয়ে যন্ত্রটি ৩০০ শব্দের প্রতিবেদন লিখেছে। চীনে নববর্ষ উদযাপনের জন্য দেশটির বিপুলসংখ্যক মানুষ শহর থেকে এই ছুটিতে বাড়ি ফেরে।
এই রোবট তৈরি করেছেন পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়ান সিয়াওজুন, তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত যন্ত্র উৎপাদনে কাজ করছেন।
যতই রোবটের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি হোক, মানুষের প্রেরণা ও আবেগ তাতে পাওয়া যাবে না। যদিও আজকের দিনে বলা হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের বুদ্ধিমত্তাকেও ছাপিয়ে যাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবশ্য এরই মধ্যে দাবা, জাপানি শোগি ও পোকার খেলা শিখে গেছে এবং এসব খেলায় জয়ও পাচ্ছে।
পরিশেষে আমরা একটা বিষয়ে একমত হতে পারি যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাংবাদিকদের বিভিন্ন অনুসন্ধানী কাজে বৃহৎ তথ্য নিয়ে বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি প্রাসঙ্গিক দিক তুলে ধরতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি প্রযুক্তি সংবাদ কক্ষের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। সাংবাদিকতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে কি না, আমরা তা জানতে পারব অদূর ভবিষ্যতেই।
Share:
Read More

আসছে উড়ন্ত গাড়ি!

ধরুন ঢাকার বিখ্যাত জ্যামে আপনি আটকা পড়েছেন। এদিকে অফিসে দেরি হয়ে যাচ্ছে অথবা বৃষ্টিতে রাস্তায় এমন পানি জমে গেছে যে কোনটা রাস্তা আর কোনটা ফুটপাত কিছুই বুঝতে পারছেন না। এমন সময় একটা বোতাম টিপলেন ব্যাস গাড়ি উড়তে শুরু করল। স্বপ্ন নয় এটাই বাস্তব। প্রযুক্তি বিষয়ক গণমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ থেকে জানা যায়, এমন স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে স্লোভাকিয়ার এরোমোবিল নামের একটি সংস্থা।
উড়ন্ত গাড়ি আসছে এ রকম খবর অনেকদিন আগে থেকেই বিভিন্ন পত্রিকায় শোনা যাচ্ছিল। গুগল, উবারের মতো বড় বড় নামধারী সংস্থাগুলো শুধু গাড়ির নকশাই করে গেছে, বাস্তব রূপ দিতে পারেনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার মোনাকোয় এক গাড়ি প্রদর্শনীতে এরোমোবিল যা করে দেখাল তাতে চোখ কপালে উঠে গেছে অনেকেরই। বোতাম চাপলেই দুটি দরজা দুপাশে ডানার মতো খুলে যাবে, এর পরই সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্রের মতো তা উড়তে শুরু করবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের মধ্যেই রাস্তায় দেখা যাবে উড়ন্ত গাড়িগুলোকে।
তবে সবার কপালে এই গাড়ি চালানোর সৌভাগ্য হবে না। এরোমোবিলের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা স্টিফান ভাদোক জানান, ‘এই যান চালাতে গেলে একই সঙ্গে ড্রাইভিং এবং পাইলট লাইসেন্সের প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত ইউরোপে এই যান চালানোর অনুমতি পাওয়া গেছে। তবে আমেরিকাতেও তা চালু করার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। আর আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে চীন।’
সংস্থাটি জানায় তারা রাস্তায় চলাচলের জন্য প্রথমে ৫০০টি গাড়ি তৈরি করবে। গাড়ির মডেল অনুযায়ী যার দাম পড়বে ১৩ লাখ থেকে ১৬ লাখ ডলারের মধ্যে। রাস্তায় যেমন দুরন্ত গতিতে গাড়ি ছুটবে, তেমনি উড়বে। গাড়িটিকে উড়ানোর জন্য একটি সুইচ রয়েছে। তিন মিনিটের ব্যবধানে যা আপনার গাড়িকে উড়ন্ত গাড়িতে পরিণত করবে। গাড়ির দুইটি দরজা পরিণত হবে ডানায়। রাস্তায় গাড়িটির গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৭৭ কিলোমিটার আর আকাশে গাড়িটির গতিবেগ হবে ৩৬০ কিলোমিটার।
উবার ও গুগলও তাদের উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে। তবে গুগল এবং উবারের গাড়িগুলো হবে হেলিকপ্টারের মতো। অর্থাৎ এরা হেলিপ্যাডের মতো নির্দিষ্ট জায়গা থেকে উড়বে আবার নির্দিষ্ট জায়গাতে গিয়েই অবতরণ করবে। এরোমোবিলের গাড়িগুলো সেরকম নয়। যেকোনো জায়গা থেকে উড়ে, আবার যেকোনো জায়গায় নামতে পারবে নতুন এই যান।
Share:
Read More

রাস্তায় নামছে চালকবিহীন বাস

বাসে উঠে বসে আছেন কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রীর লোভে হেলপার ও চালক কারোরই বাস ছাড়ার নাম নেই। ঢাকা শহরে বাসে চড়েছেন কিন্তু এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি এমন মানুষ পাওয়া আসলেই মুশকিল। এ রকম অবস্থায় চালককে অনেক কথা বলতে চাইলেও ঝামেলা এড়াতে নীরব থাকেন অনেকেই। কিন্তু কেমন হয় যদি বাসে চালকই না থাকে? চালক ছাড়াই বাস স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনাকে পৌঁছে দিল গন্তব্যে, এমনটা হলে কোনো ঝামেলাই থাকে না আসলে।
ম্যাশেবলে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, প্রোটেররা নামে একটি বাস প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এ রকম একটি বাস তৈরির দাবি করেছে। এরই মধ্যে ফিনল্যান্ডের সমুদ্রপাড়ের রাস্তায় তা পরীক্ষামূলকভাবে চালানোও হয়েছে। তারা এই বাসটির মাধ্যমে তিনটি ধাপের একটি পরিকল্পনার কথা বলেছে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে চালকবিহীন গাড়ি সবার জন্য সহজলভ্য হয়ে উঠবে। এই ধাপগুলো অনুসরণের ফলে জনগণের বাস চলাচল আরো নিরাপদ এবং কার্যকরী হয়ে উঠবে।
তাদের এই তিনটি ধাপের প্রতিটি ধাপ যে কার্যকরী তা আলাদাভাবে গবেষণা এবং উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা প্রদেশের রেনো শহরের একটি নির্দিষ্ট রাস্তায় নামানো হবে প্রোটেররার তৈরির বাসটিকে। প্রথম ধাপে সেন্সরের মাধ্যমে যাত্রীদেরকে বাসে ওঠানো হবে এবং যাত্রাপথ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। যদিও যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য একজন চালককেও সঙ্গে রাখা হবে। দ্বিতীয় ধাপে সেন্সর থেকে স্ব-চালনার বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বাসটি তার কাজ শুরু করবে। তৃতীয় ধাপে তারা চায় শুধু রেনো শহরের নির্দিষ্ট রাস্তায় নয়, গোটা নেভাদা শহরের রাস্তাগুলোতেই যেন তাদের বাস চলাচল করে সেই ব্যবস্থা করা।
প্রোটেররা তাদের এই প্রকল্পকে আখ্যা দিয়েছে “আমেরিকার প্রথম স্বয়ংক্রিয় বাস প্রকল্প”। শুধুমাত্র বাসই নয় স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, ট্রাক নিয়েও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে স্ব-চালিত বাস প্রকল্পে বড় বাধা হয়ে আসতে পারে ট্রাফিক সিস্টেম। তারা এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তারা আশা করছে, ২০১৯ সাল নাগাদ স্ব-চালিত বাস রাস্তায় নামাতে পারবে।
Share:
Read More

ভারতে নামবে সত্যিকারের রোবোকপ!

বিটিভিতে সম্প্রচারিত রোবোকপের কথা মনে আছে? দুর্বৃত্তদের হামলায় মৃতপ্রায় পুলিশ অফিসার অ্যালেক্স মরফির মগজটাই শুধু ছিল জৈবিক, আর শরীরের বাকি অংশ ছিল যান্ত্রিক, অর্থাৎ রোবোটিক। তবে বহুদিন ধরেই মানুষ পূর্ণাঙ্গ রোবোকপ বানানোর চেষ্টা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভারতের রাস্তায় শিগগিরই দেখা মিলবে রোবোকপ বা পুলিশ রোবটের।
ডিএনএ ইন্ডিয়ার একটি খবরে প্রকাশ, এইচ-বটস রোবোটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ভারতীয় কোম্পানি পুলিশ রোবট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছ। নতুন এই রোবট পুলিশ তৈরির পর পরীক্ষামূলকভাবে তা মোতায়েন করা হবে জুবিলে হিলস চেকপোস্টে।
এইচ-বটসের প্রতিষ্ঠাতা কিষাণ এক বিবৃতিতে জানান, রোবটটির নকশা এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে রোবটটি হাঁটতে পারবে, মানুষকে চিনতে পারবে, অভিযোগ গ্রহণ করতে পারবে এবং বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে পারবে। একটি অনুষ্ঠানে রোবটটির নকশা উন্মোচন করেছেন তেলেঙ্গানা অঙ্গরাজ্যের আইটি সেক্রেটারি জয়েশ রঞ্জন।
কিষাণ বলেন, ‘দুবাইয়ের পর এটিই হবে পৃথিবীর দ্বিতীয় হিউম্যানয়েড রোবট (মানবাকৃতির রোবট)। দুবাইয়ের রোবটটি তৈরি করে দিয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত হতে যাচ্ছে হিউম্যানয়েড রোবট। রোবটটির একটি প্রটোটাইপ (নমুনা) এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তৈরি করা হবে। ডিসেম্বরে জুবিলি হিলস চেকপোস্টে রোবটটি দেওয়ার আগে আমরা দুই মাস ধরে প্রটোটাইপটি নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করব।’
রোবটটি সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে গিয়ে কিষাণ আরো জানান, আমাদের রোবটটি অবিকল দুবাইয়ের রোবটের করেই তৈরি করা হবে। যেটা চাকার সাহায্যে চলতে পারবে, হাঁটতে পারবে, মানুষকে চিনতে পারবে, অভিযোগ গ্রহণ করতে পারবে এবং বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে পারবে।
কিষাণ আরো বলেন, ‘আমাদের ১০টি করে রোবট তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। এ ধরনের রোবটকে আপনি ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন অথবা বড় কোনো হোটেল, হাসপাতাল, অফিসের সুরক্ষায় এ ধরনের রোবটকে ব্যবহার করা যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এক বছরে ১০টি রোবট তৈরি করতে সক্ষম এবং প্রতিটি রোবটের তিন লাখ রুপি দাম ধরে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
এদিকে রোবটটির নকশাকারক জয়েশ রঞ্জন জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকার অতিদ্রুত আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) পলিসি গ্রহণ করবে। আর তারা পলিসি গ্রহণ করলেই রোবটটির সঙ্গে আইওসি জুড়ে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে তেলেঙ্গানা রাজ্যের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে পলিসি নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। মূলত আটটি বিভাগে আইওসি পলিসি কাজ করবে। স্টার্টআপস, অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রি, সাইবার সিকিউরিটিসহ পলিসির আটটি বিভাগ একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিন থেকে চার মাসের মধ্যে তেলেঙ্গানা রাজ্যের জন্য আমরা আইওটি পলিসি ঘোষণা করব। পলিসির খসড়া শেষ প্রায় পর্যায়ে রয়েছে।’
টি-ওয়ার্কস ও টি-হাভ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান রোবটটির জন্য সেমিকন্ডাকটার এবং হার্ডওয়্যারের মতো যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে। সেখানে থেকেই তেলেঙ্গানার গাছিবৌলি এলাকায় আসবে রোবটগুলোর যন্ত্রাংশ। এ ছাড়া পরবর্তী তিন থেকে চার মাসের জন্য ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগও করেছে এ দুটি প্রতিষ্ঠান।
Share:
Read More

হাজিদের জন্য এবার স্মার্ট ছাতা

ছাতাটি যেনতেন নয়। এটিকে বলা হয় স্মার্ট ছাতা। ছাতা যে কেবল ছায়া দেয় তা নয়। ছাতায় আছে বিশেষ ধরনের পাখা। ছাতা খুললে শিশিরের মতো পানি ছড়াবে। মরু অঞ্চলে এর চেয়ে সেরা জিনিস আর হতেই পারে না!
সৌদি আরব ও মক্কা নগরীর গরম সম্পর্কে সবারই জানা। সারা পৃথিবী থেকে প্রায় ২৫ লাখ মুসলমান মক্কায় হজে সমবেত হন। এসব হাজির জন্য এবার সুখবর। হাজিদের স্বস্তি দিতে সৌদি আরবের এক বিজ্ঞানী ওই স্মার্ট ছাতার উদ্ভাবন করেন।   
মক্কার আবহাওয়া প্রচণ্ড তপ্ত। মক্কার বাইরে থেকে যারা যান তাঁদের ওই আবহাওয়াতে মানিয়ে নিতে হয়। কিন্তু গরম সহ্য করা বেশ কষ্টকর। এরপরও ইসলাম ও নবীর প্রতি ভালোবাসায় প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজের সময় হাজির হন মক্কায়। এই হাজিদের জন্যই ছাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ছাতাটির উদ্ভাবক সৌদি আরবেরই বিজ্ঞানী মোহাম্মদ বিন হামেদ আস-সায়েগ। ছাতাটি ‘কাফিয়া’ স্মার্ট ছাতা নামে পরিচিত।
ছাতাটির বৈশিষ্ট্য হলো এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নিঃসরণ করতে পারে। এর ওজন মাত্র ৬৬০ গ্রাম। খুব সহজে বহন করা যায়।
ছাতাটিতে ফ্যান আছে। এ ছাড়া হাতলের নিচের একটি অংশ খুলে সেখানে একটি পানির বোতল লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এরপর ওই পানি টেনে ওপরে ফ্যানের কাছে নিয়ে গিয়ে শিশিরের বিন্দুর মতো গায়ে ছিটিয়ে দেয়। প্রচণ্ড গরমে ফ্যানের বাতাসের পাশাপাশি এ রকম শিশির বিন্দুর স্পর্শ গরম তো দূর করবেই, শরীরকে যথেষ্ট আরামও দেবে।
ছাতাটিতে আলাদা করে চার্জ দেওয়া যায়। আবার সৌরশক্তি থেকেও চার্জ নিতে পারবে। ওই ব্যবস্থাও করা আছে।
এরই মধ্যে ছাতাটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত শুরু হয়েছে।
‘কাফিয়া ছাতা’র উদ্ভাবক মোহাম্মদ বিন হামেদ বলেন, সৌদি আরবের তাপমাত্রা বেশি হওয়াতে বিশেষ করে ইউরোপ, এশিয়ায় এবং অন্যান্য দেশের হজযাত্রীদের অধিকাংশই এই ছাতা ব্যবহার করতে পছন্দ করছেন। ছয় মাস ধরে ছাতাগুলোর চাহিদা বেড়েছে বলে জানান ওই বিজ্ঞানী। 
হামেদ আরো বলেন, ‘ওই ছাতা পাম্পের মাধ্যমে পানি ছড়িয়ে দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে সক্ষম। এটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যা এই বছর হজযাত্রীদের তাপমাত্রার মধ্যে অভূতপূর্ব আরাম দেবে।’
এই ছাতা শুধু হজযাত্রীরা ব্যবহার করবেন তা নয়, সৌদি আরব এবং অন্যান্য দেশেও ব্যবহার করা যাবে। কিং আবদুল আজিজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কেএসিএসটি) ছাতাটি উদ্ভাবনের জন্য এরই মধ্যে মোহাম্মদ বিন হামেদকে সনদ দিয়েছে। ছাতাটির পরিবেশক রাইড মাতা জানিয়েছে, হাজিদের চাহিদা মেটাতে চীনে তৈরি করা হয়েছে ‘কাফিয়া ছাতা’।

Share:
Read More

শেষকৃত্য পরিচালনা করবে রোবট!

মানুষের কাজকে সহজ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে রোবট। সময়ের আবর্তনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বেশ সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে রোবট। কোনো কোনো রোবট আবার ফুটবল খেলাতেও পারদর্শী। তাই তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে রোবট এখন আর কোনো বিস্ময়ের নাম নয়। কিন্তু শেষকৃত্য অনুষ্ঠান পরিচালনা করবে রোবট—এ কথা শুনে বিস্ময়ে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। আর পুরোহিত রোবট তৈরির কাজটি করেছে জাপানের রোবট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। 
ম্যাশেবলের খবরে প্রকাশ, সম্প্রতি ‘টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ফিউরেনাল অ্যান্ড সিমেট্রি শো’তে রোবট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক নির্মিত ‘পিপার’ নামের একটি রোবটের প্রদর্শন করা হয়েছে, যা বৌদ্ধ ধর্মানুসারে শেষকৃত্য অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে সক্ষম। শুধু বৌদ্ধ ধর্মানুসারে শেষকৃত্য অনুষ্ঠান পরিচালনাই নয়, এর পাশাপাশি জাপানি রীতিনীতির প্রতিও সমান খেয়াল রাখবে সফটব্যাংকের ‘পিপার’। অর্থাৎ একজন জাপানি বৌদ্ধভিক্ষু যা পারেন, তা অনায়াসেই করতে পারবে এ রোবট। 

পিপারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক হলেও রোবটটি যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের মন্ত্র উচ্চারণ করছে, তা তৈরি করছে জাপানি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান নিসেই ইকো। ফলে একজন বৌদ্ধভিক্ষুর অবিকল বিকল্প হয়ে উঠতে পারে ‘পিপার’। তা ছাড়া ‘পিপারের’ সেবাও বেশ সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। শেষকৃত্যানুষ্ঠানে একজন বৌদ্ধভিক্ষুর জন্য যেখানে এক হাজার ডলার খরচ করতে হয়, সেখানে পিপারের জন্য গ্রাহককে খরচ করতে হবে মাত্র ৪৫০ ডলার। 

সস্তা, স্বয়ংক্রিয় ও যান্ত্রিক হওয়ার কারণে এরই মধ্যে জাপানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘পিপার’। তবে রোবট দিয়ে শেষকৃত্য পরিচালনা কতটা ধর্মসম্মত, এ ব্যাপারে কোনো বৌদ্ধভিক্ষুর মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 
Share:
Read More

কম্পিউটার গেম ফিরিয়ে দেবে মানুষের স্মৃতি!

স্মৃতিবিভ্রমে (ডিমেনশিয়া) রোগে আক্রান্ত মানুষের স্মৃতিশক্তি ফিরিয়ে দিতে সক্ষম একটি কম্পিউটার গেম উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা।
স্মৃতিবিভ্রম নিয়ে গবেষণাকারী যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান ‘আলঝেইমারস রিসার্চ ইউকে’র বিজ্ঞানীরা যুগান্তকারী এই গেমটির উদ্ভাবন করেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ‘সি হিরো কুয়েস্ট’ নামে গেমটিতে নাবিকের ভূমিকায় থাকবেন স্মৃতিবিভ্রমে আক্রান্ত ব্যক্তি। তার জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে উত্তাল পানিপথে, কঠিন বরফের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সব প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে সঠিকভাবে নির্দেশনা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া। 

স্নায়ুবিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা শুধু খেলাই নয়, যখন ওই ব্যক্তি খেলতে থাকবেন তখন অসংখ্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ হতে থাকবে। পরে তথ্য-উপাত্তগুলো মূল্যায়ন করা হবে। এতে তরুণ বয়সের যেসব স্মৃতি হারিয়ে গেছে, সেগুলোও উঠে আসবে।

সুইজার‍ল্যান্ডের জুরিখের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইটিএইচ জুরিখের কগনেটিভ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্রিস্টফ হোলশার বলেন, ‘এটা আমাদের এমন এক সুযোগ করে দেবে, যার সাহায্যে অসংখ্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা যাবে, যা বর্তমান সময়ের কোনো প্রযুক্তির মাধ্যমে করা সম্ভব নয়।’

বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে এখন প্রায় সাড়ে আট হাজার মানুষ স্মৃতিবিভ্রম রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনযাপন করছেন, যা ২০৫০ সালের মধ্যে ৪০ হাজারে দাঁড়াতে পারে। যারা স্মৃতিবিভ্রম রোগে আক্রান্ত, তাদের প্রায় অধিকাংশের ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ অসুস্থ হওয়ার আগে উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি, যা স্মৃতিবিভ্রম রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে ঠেকাতে পারে কিংবা ভালো করতে পারে। কিন্তু এ কথা সর্বজনবিদিত যে রোগাক্রান্ত হওয়ার আগে রোগীর কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল, সে সম্পর্কে চিকিৎসকরা যদি জানতে পারেন, তবেই তারা চিকিৎসার কাজ এগিয়ে নিতে পারেন।

স্নায়ুবিজ্ঞানীরা ২০১৬ সালে গেমটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রথমবারের মতো উপস্থাপন করে। ডয়চে টেলিকম নামে জার্মানির এক প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন করছে। এদের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে, স্মৃতিবিভ্রমে আক্রান্ত লোকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার আওতায় আনা।
Share:
Read More